সমান অধিকার যে নারীর স্বাভাবিকভাবেই প্রাপ্য এবং কোনোভাবেই তা পুরুষের দেওয়ার জিনিস নয়, এই সারসত্যটা আমাদের সমাজ এখনও বুঝে উঠতে পারেনি। উপরন্তু নারীকে বোঝানো হয়েছে পুরুষের আজ্ঞাবাহী হওয়াটা তাদের অবশ্যকর্তব্য। ঘরের কাজ-বাইরের কাজ, এই শ্রেণিবিভাগটাও একান্তভাবেই পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার ফসল।

বিধবাবিবাহের আইন, বালিকা বিদ্যালয়, বহুবিবাহ রোধ আর বাল্যবিবাহ বন্ধ করার চেষ্টা-- সিঁড়িভাঙা অঙ্কের মতো নারীজাতির ব্যক্তিত্ব গঠনের ধাপ তৈরি করেছেন বিদ্যাসাগর।

শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখেই যে মেয়েরা কর্মজগতে আসে আর শিক্ষা আছে বলেই সমানাধিকার দাবি করতে পারে, সেই পরম সত্যটা খুব গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলাম আর বুঝেছিলাম মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন কেন সেই উনিশ শতক থেকে আজও সমান গুরুত্বপুর্ণ। সেই অনুভূতি থেকেই ফিরে তাকাতে চাই বিদ্যাসাগরের স্ত্রীশিক্ষায় অবদানের দিকে।                

১৮৩১ সালের ৩ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রে সাবিত্রীর জন্ম। সাবিত্রীকে জোতিরাওয়ের পাত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন জোতিবার পিসিমা সাগুনাবাই। ১৮৪৮ সালে মহারাষ্ট্রের ভিদেওয়াড়ায় তাঁদের প্রচেষ্টায় প্রথম মেয়েদের স্কুল হয়। সাবিত্রী এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। যে ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণ্যবাদী বিধানে শুদ্র ও নারীর জ্ঞানার্জন নিষিদ্ধ ছিল, সেখানে শুদ্র নারী-পুরুষ দ্বারা শুদ্রাতিশুদ্র ছেলেমেয়েদের জন্য আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষার স্কুল প্রতিষ্ঠা ছিল এক যুগান্তের সূচনা।

পরের দিন খুব ভোরে, সবাই তখনো ঘুমাচ্ছে, শিউলি ছুটে গেলো, তাদের ছোট্ট ডোবাটার উত্তর পাড়ে। সঙ্গে একটা কোদাল এনেছিলো সে। আন্দাজে জায়গাটা চিনে নিয়ে খুঁড়তে শুরু করলো। অল্প আয়াসেই উপরের মাটি সরে একটা বড় গর্ত বেরিয়ে পড়লো। গর্তের মাটি অল্প সরাতেই প্লাস্টিকের একটা বেশ বড়  প্যাকেট। সে প্ল্যাস্টিক ব্যাগের মুখটা কেটে ভিতর থেকে বের করে আনলো তার একাদশ শ্রেণীর বইগুলো! 

২০২১ সালের ১৫ই অগাষ্ট আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক দেশ পরিচালনার নামে একের পর অমানবিক সিদ্ধান্তের সাক্ষী থেকেছে বিশ্ব, যার সাম্প্রতিক সংযোজন 'মেয়েরা বিয়েবাড়ি যাওয়ার মতো সেজেগুজে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, যা ইসলাম বিরুদ্ধ' - এই যুক্তিতে নারীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা।